নেতৃত্ব অন্যের হাতে চলে যাওয়ার ভয়ে তারেক নির্বাচন চায় না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, আগামী মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপি একটা বড় রাজনৈতিক দল। অনেক চেষ্টা করেছি, নির্বাচনে আনার জন্য কিন্তু বিএনপি আসেনি। তাদের নেতা তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত, খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত; তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনার, সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, কাজেই বিএনপি যদি নির্বাচনে জিতেও, তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়া নেতা থাকতে পারবে না। নেতৃত্ব চলে যাবে দলের অন্যদের কাছে। তাই নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে তারেক জিয়া কিছুতেই চায় না নির্বাচন হোক, বিএনপি নির্বাচনে আসুক।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, দেশটায় শান্তি দরকার, উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হচ্ছে। এটিকে, বানচাল করার জন্য আবারও সহিংসতা ও বর্বরতার পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি। তারা ভুল পথে রয়েছে, নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে তারা আরও জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের কথা শুনে সবাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেখানে যাই, কথা বলি সারা পৃথিবীর মানুষই আমাদের প্রশংসা করে। সবাই আমাদের কথা শুনতে চায়। বাংলাদেশের সফলতার কথা যখন আমরা বলি, সবাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। তারা বিস্ময় প্রকাশ করে, কীভাবে বাংলাদেশের এত সাফল্য।
এবারের বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘মাটি ও পানি: জীবনের উৎস’।
মন্ত্রী বলেন, জমি কমছে, পানির উৎসও কমে যাচ্ছে। মাটির গুণাগুণও হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থায় ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা আমাদের মেটাতে হবে।
তিনি বলেন, বর্ধিত জনসংখ্যার খাবার জোগাড় করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষ আগে খাবার পেতো না, ভাত পেতো না। দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে বার বার। ২০০৪-০৫ সালে উত্তরাঞ্চলে আমি দেখেছি মানুষের হাড্ডিসার চেহারা। এখন আর সেই অবস্থা নেই। এখন খাদ্যাভাব নেই, খাদ্যের কষ্ট আর নেই।
তিনি আরও বলেন, মাটি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিতে হবে। দেশে প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমি লবণাক্ত। প্রায় ৩০ লাখ হেক্টর জমি উপকূলীয়। লবণাক্ত জমির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে পারলে সব ফসলে উদ্বৃত্ত হওয়া যাবে। উন্নত জাতের ধানের চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে চালে উদ্বৃত্ত হওয়া সম্ভব।
পরে মন্ত্রী সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩, সয়েল অলিম্পিয়াড এবং মৃত্তিকা দিবসের পুরস্কার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং 'ল্যান্ড অ্যান্ড সয়েল রিসোর্সেস ইউটিলাইজেশন গাইড'- বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, পানি ও মৃত্তিকা সম্পদের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে পানি ও মাটি আজ অবক্ষয়ের সম্মুখীন।
তিনি আরও বলেন, ভূমির যথাযথ ব্যবহার ও মাটির অবক্ষয় রোধ নিশ্চিত করার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিএআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জালাল উদ্দীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের মোকাবিলা করবে যুবসমাজ: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির শান্তিপ্রিয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: কৃষিমন্ত্রী