তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা।
এদিকে জেলায় মোট ৪৮৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। বিএনপি প্রার্থীদের অভিযোগ, ভোটাররা যারা ভোট দিতে কেন্দ্রে গেছেন, তাদের প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
ধানের শীষ প্রার্থী এবিএম মোশারেফ হোসেনের অভিযোগ, কলাপাড়ার চাকামইয়া ও নিশানবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষের আটজন এজেন্ট কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। দুর্গম চরবেষ্টিত সাগর মোহনার উপজেলা রাঙ্গাবালীতেও একই চিত্র বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। এ আসনে ১১০টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬ জন।
গোলাম মাওলা রনির অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে আমি বের হতে পারছি না, তাই আমার বাসায় বসে আছি। দশমিনা গলাচিপা উপজেলার সব কটি কেন্দ্রে আমার নিয়োগকৃত পোলিং এজেন্টদের বেশির ভাগই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কয়েকটি কেন্দ্রে এজেন্টরা সাহস করে ঢোকার চেষ্টা করেছেন তাদেরকে মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে। অনেককে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। তারা বেশির ভাগই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান খানকে এলাকায় ঢুকতে দেয়নি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকেরা। আর গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আপনি ১০ মিনিটের মধ্যে এলাকা ছাড়বেন। তাই তিনিও এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন বলে দাবি করেন রনি।