সংসদের পরবর্তী উপনেতা হতে যাচ্ছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা,আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই পদের জন্য মতিয়া চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন, যা সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন সমর্থন করেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে উপনেতার পদটি শূন্য হয়।
ক্ষমতাসীন দলের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজেদা টানা তৃতীয়বারের মতো একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত হয়েছেন।
শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃষিমন্ত্রী ছিলেন।
সংসদে উপনেতা পদে কাউকে নিয়োগ দিতে বাধ্যতামূলক আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।
২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কাউকে উপনেতা হিসেবে নিয়োগ দেননি।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয়বার সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই একজন সিনিয়র নেতাকে মন্ত্রী পদে বসিয়েছে।
মতিয়া পাঁচবারের সংসদ সদস্য।
এসময় আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের জনগণের কাছাকাছি থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন প্রণেতাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তার কাছে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট কার্ড রয়েছে এবং যারা জনগণের সঙ্গে যুক্ত এবং তাদের নির্বাচনী এলাকায় ভালো কাজ করছেন, তারাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন বলে বৈঠক সূত্র জানায়।
প্রধানমন্ত্রী সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, তাদের মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হবে না।’
বিএনপির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের চলমান আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চললে তাতে সরকারের কোনো আপত্তি নেই।
বৈঠকে শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে একজন আইনপ্রণেতা বলেছেন, ‘তবে তারা যদি অতীতে যেভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়েছিল, একইভাবে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের পথ অবলম্বন করে; তবে তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে তার সরকার এই মুহূর্তে নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে অংশ নেবে না। বরং চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার ওপর জোর দেবে সরকার।
এদিন রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে।
প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের জনগণের সঙ্গে কথা বলতে এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবাইকে জানানোর আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সরকার আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হওয়ায় সাজেদা চৌধুরীকে অভিনন্দন