বৃহস্পতিবার রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এনায়েত কবির সরকার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে হত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার মোট ১১০ আসামির মধ্যে ছয়জন বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন।
অভিযোগ গঠনে শুনানির জন্য বেলা ১১টার দিকে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাঈদীকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এ সময় আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় র্যাব।
শুনানির সময় সাঈদীর পক্ষে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। তবে আদালত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম দাবি করেন, ‘ফারুক হত্যার আগের দিন জামায়াতের এক সমাবেশে সাঈদী ছাত্রলীগকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু হত্যার কথা বলেননি বা নির্দেশ দেননি। এমন কি ছাত্রলীগ কর্মী ফারুককে তিনি চিনতেনও না। কাজেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।’
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজী শওকত সালেহীন বলেন, ‘ওই সমাবেশে সাঈদী ছাত্রলীগ কর্মীদের হত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে।’
২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় শাহ মখদুম হলে ফারুক হোসেনকে হত্যার পর ম্যানহোলে লাশ ফেলে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে অভিযুক্ত করে পরদিন নগরীর মতিহার থানায় মামলা করেন তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু।