শনিবার দুপুরে ফেনী জজ কোর্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সমাজতন্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা হামলার জন্য আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছেন।
এদিকে, লংমার্চের নামে সারা দেশের মতো ফেনীকে অশান্ত করার লক্ষ্যে জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে বামপন্থীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নগ্ন আচরণ এবং ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর ছবিতে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য লেখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।
লংমার্চকারীরা সমাবেশ চলাকালে ট্রাংক রোডের দোয়েল চত্বরে সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিনের ছবি থাকা ফেস্টুনে ধর্ষণের প্রতীকী চিহ্ন ও ধর্ষণবিরোধী শ্লোগান লিখেন। এছাড়া, সমাবেশ থেকে সরকারবিরোধী ও পুলিশকে উদ্দেশ করে শ্লোগান দেয়া হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সমাবেশ শেষে লংমার্চকারীরা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে শহরের মিশন হাসপাতালের সামনে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে আদালতপাড়া সংলগ্ন নির্মাণ সুপার মার্কেটের সামনে দ্বিতীয় দফা হামলা হয়। এতে একাত্তর টিভির প্রতিনিধি জহিরুল হক মিলু, ক্যামেরাম্যান সাজু, হকার্স প্রতিনিধি ইয়াছিন আরাফাত রুবেল ছাড়াও লংমার্চ কর্মী আসমানী আশা, রিপা মজুমদার, হৃদয়, শাহাদাত, জাওয়াদ ও অনিকসহ প্রায় ২০ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টায় ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু হয়। সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের ফেনী জেলা সংগঠক সালমা আক্তার কলির সভাপতিত্বে ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ফেনী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক পংকজনাথ সূর্যের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ফেনী জেলার সংগঠক জোবেদা আক্তার কচি, উদীচী ফেনী সংসদের সহ-সভাপতি মৌসুমি সোম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মেহেদি হাসান নোবেল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রিন্স প্রমুখ।
মাসুদ রানা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা লংমার্চ সহ্য করতে না পেরে হামলা চালিয়ে মারধর ও ছয়টি গাড়ি ভাংচুর করে। এতে অন্তত ২০০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে তার দাবি।
তবে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, ‘লংমার্চকারীরা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ছবিতে ‘ধর্ষকদের পাহারাদার’ লেখায় সাধারণ মানুষ তাদের প্রতিহত করেছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন করলেও একটি চক্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে পাঁয়তারা করছে।’