বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা জমি দখলের জন্য বঙ্গবাজার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটাতে পারে।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবাজার মার্কেট দখলের চেষ্টা করছে। সত্যিকার নিরপেক্ষ তদন্ত হলে জানা যাবে এই ঘটনা সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে।’
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারর্সনের গুলশান কার্যালয়ে ১২ দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাদের দল সত্য উদঘাটনের জন্য ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চায়।
মার্কেটের আগুনের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সম্পৃক্ততার বক্তব্যের যৌক্তিকতা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ঘটনার একদিন পরই বঙ্গবাজারে বহুতল ভবন নির্মাণের কথা বলা শুরু করেছে সরকার।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সে এক বিশাল অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং এটি আশেপাশের কয়েকটি বাজারে ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েক হাজার দোকান, প্রধানত তৈরি পোশাক এবং জুতার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে বিএনপি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা আধুনিকায়নে সরকার ব্যর্থ: ফখরুল
বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন বৈধ হবে না
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার আগের মতো ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো মঞ্চ-পরিচালিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি সরকার আগের মতোই একতরফা নির্বাচন করতে চায়। এ কারণে তারা জাতিসংঘের প্রস্তাব (আগামী জাতীয় নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য) প্রত্যাখ্যান করেছে।’
এর আগে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ যথেষ্ট পরিণত এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতিসংঘের সাহায্য নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি ও জোটের শরিকরা নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচনের কোনো বৈধতা থাকবে না। এ কারণেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার গতকাল (বৃহস্পতিবার) বলেছেন, প্রধান দলগুলো অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচনের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দার জানান, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়ে তারা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আগামী দিনে তারা আন্দোলন আরও জোরদার করবেন এবং সফল করবেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার মার্কেট নিয়ে সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে: ফখরুল