বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে প্রতিবেশী দেশের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে দুস্থদের মাঝে ঈদের বস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি দমনের চেষ্টা করছে তারা।’
রিজভী আরও বলেন, যাদের সামর্থ্য আছে তারা সাধারণত নিকটাত্মীয়, গরিব ও অভাবী মানুষদের খাওয়ানোর জন্য ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। এটি দেশে দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃতি ও ধর্মীয় প্রথা।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
তবে এ বছর কিছু সংগঠনকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বা বাইরে ইফতার পার্টি করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘তারা (সরকার) এটা পছন্দ করে না। তারা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের ওপর আঘাত হানছে।’
এই বিএনপি নেতার অভিযোগ, ‘প্রধানমন্ত্রী তার প্রভুদের ইচ্ছা পূরণের জন্য এসব করছেন।’
তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রাথমিকভাবে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। কিন্তু আমরা যদি গভীরভাবে চিন্তা করি, তাহলে বুঝতে পারি কীভাবে তারা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করছে।’
এ সময় বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকের পক্ষে রিজভী বলেন, ‘তারা আমাদের জনগণ এবং আমাদের মূল্যবোধকে সম্মান করে না। আমরা কেন তাদের শাড়ি বা টুথপেস্ট কিনব।'
রিজভী বলেন, ‘তারা নিয়মিতভাবে সীমান্তে আমাদের লোকদের হত্যা করছে।’
তিনি আরও বলেন, 'সীমান্ত হত্যা নিয়ে চুক্তি আছে, প্রোটোকল আছে, কিন্তু বিএসএফ তাতে মাথা ঘামায় না। তারা প্রায়ই সীমান্তে আমাদের লোকজনকে হত্যা করছে।’
ভারত প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'তারা দাবি করে তারা একটি গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে স্বীকার করে না। এমনকি তারা বাংলাদেশিদেরও সম্মান করে না। তারা কেবল একটি রাজনৈতিক দলের পাশে দাঁড়িয়েছে যাতে তারা স্থায়ীভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘তারা তাদের সার্টিফিকেট দিয়েছে এবং তাদের (আওয়ামী লীগ) জন্য বিশ্বব্যাপী তদবির করেছে।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, লোকেরা কেন তাদের পণ্য ব্যবহার করবে যখন তারা তাদের ইচ্ছাকে সম্মান করে না এবং একটি দলের স্বার্থে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে উপেক্ষা করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা চালাচ্ছে জনগণ: রিজভী