দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘খুনী, ডাকাত, সন্ত্রাসীসহ সব ধরনের অপরাধীরা জামিন পেলেও তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে (খালেদা জিয়া) জামিন দেয়া হচ্ছে না। এতে প্রমাণ হয় দেশে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগও স্বাধীন নয়। বিচারপতিরা চাকরির ভয়ে আইন অনুযায়ী বিচারকাজ করতে পারছেন না। কারণ প্রধান বিচারপতিও দেশ ছাড়া হতে বাধ্য হয়েছেন।’
বগুড়া শহরের নবাববাড়ী রোডে যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অপর নাম গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্র আজ কারাগারে বন্দি। দেশ রক্ষা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
‘দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে ভোট ডাকাত সরকার তাড়াতে হবে। সরকারের পতন নিশ্চিত করতে সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে রাজপথ দখলে নিতে হবে। এ জন্য ডু অর ডাই নীতিতে অটল থাকতে হবে। আমরা চুপ থাকলে জনগণ একসময় মুখ ফিরিয়ে নেবে,’ বলেন বিএনপি নেতা।
চলমান শুদ্ধি অভিযান বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, শেয়ার বাজার ও ব্যাংক-বীমা লুটপাট, জুয়া এবং ক্যাসিনোর মাধ্যমে দেশের বাইরে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে সরকারি দলের নেতারা। ‘নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার জের ধরে চুনোপুঁটি লুটপাটকারীদের ধরা হচ্ছে। শুদ্ধি অভিযান শুদ্ধভাবে চালানো হলে অনেক রাঘব-বোয়াল ধরা পড়বে। বর্তমান যে অভিযান চলছে তা আইওয়াশ মাত্র। ছোট সম্রাটদের ধরে বড় বড় সম্রাটদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে,’ দাবি করেন তিনি।
সমাবেশের প্রধান বক্তা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মো. সিরাজ বলেন, ‘সরকার পাগল হয়ে গেছে। তারা এতই লুটপাট করেছে যে আজ সে সম্পদ নিয়ে টালমাটাল অবস্থা।’
তিনি বলেন, ‘যুবদলের জন্মদিনে সবার শপথ হোক বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।’
যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুল ইসলাম আলিম প্রমুখ। বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি কেক কাটেন। কেকটি নিজেরা না খেয়ে স্থানীয় এতিমখানায় দান করা হয়।