নির্বাচন চলাকালে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর এলাকায় নিজের বাড়িতে তিনি সাংবাদিকদের সামনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: পৌর নির্বাচন: ফেনীর দাগনভূঞায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত ৩
তিনি বলেন, ‘শহীদ সেকেন্দার মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আমি আমার নিজের ভোটটা দিতে গিয়েছিলাম। নৌকার সমর্থকরা আমাকে আমার ভোটটাই দিতে দেয়নি। কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোথাও এমন হয়েছে যে প্রার্থী তার নিজের ভোট দিতে পারেননি? এমন ভোটে থেকে লাভ কী?’
আরও পড়ুন: পৌর নির্বাচন: বোয়ালমারী আ’লীগের নির্বাচনী ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের আগুন
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আবদুল মালেক বলেন, ‘এখন বেলা ১১টা। ভোট যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন ভোট বর্জন করে লাভ আছে?’
দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে রাজশাহীর তিনটি পৌরসভায় আজ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অন্য দুটি পৌরসভা হলো গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট এবং বাঘা উপজেলার আড়ানী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নির্বাচনী সহিংসতা: হত্যা মামলায় কাউন্সিল প্রার্থীসহ ১১ জন রিমান্ডে
আজ সারা দেশে অধিকাংশ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণে দ্বিতীয় ধাপে ৬০ পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের তিন মেয়র প্রার্থী পাবনার ভাঙ্গুরায় গোলাম হাসনাইন, পিরোজপুর সদরে হাবিবুর রহমান মালেক এবং নারায়ণগঞ্জের তারাবো পৌরসভায় হাসিনা গাজী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ ২৯ পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ১
সব পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তবে ৫৫ পৌরসভায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন। জাতীয় পার্টি ১১-১২ পৌরসভায় মেয়র প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়েছে।
ভাঙ্গুরা, পিরোজপুর সদর ও রূপগঞ্জের পাশাপাশি আরও দুটি পৌরসভা সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ছিল না।
আরও পড়ুন: পৌর নির্বাচন: চান্দিনায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১১
শুধুমাত্র মেয়র পদে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনে ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।