শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ পৌরসভার নয়াকান্দি আমবাগানে আয়োজিত রিকশা-ভ্যান-হ্যালোবাইক চালক ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের সাথে বিশেষ আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মো. রমজান আলী বলেন, ‘আমি সাধারণ ঘরের সন্তান বলে শহরের সাহেবরা আমাকে পছন্দ করে না। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। গরীব মানুষেরা আমাকে ভালোবাসে। এটাই আমার কাছে অনেক বড়। আমি কৃষকের সন্তান। এটা আমার গর্ব।’
‘পা-ফাটা দুখী-গরিব মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভোটেই আমি দীর্ঘ ৩৮ বছর কমিশনার, চেয়ারম্যান ও মেয়র হয়েছিলাম। তারা আমার সাথে আছে। আমার কিছু হারানোর ভয় নেই,’ বলেন তিনি।
আগামী পৌরসভার নির্বাচনে নিজেকে একজন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলেন, ‘গত নির্বাচনে দল আমাকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছিল। তবে, দলের নেতা-কর্মীরা আমাকে জোর করে হারিয়েছে। এখন তারাই আবার প্রার্থী হতে চান। আমি বিশ্বাস করি দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে যারা নির্বাচন করেছেন এবং তার পক্ষে যারা কাজ করেছেন তাদেরকে দল মনোনয়ন দেবে না।’
‘আমি আশা করি, দল আমাকে মনোনয়ন দেবে এবং বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে প্রাণপন চেষ্টা করব,’ বলেন তিনি।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র বলেন, বর্তমানে পৌরবাসী সুখে নেই। বিপদে-আপদে মেয়রের বাসায় গেলে দুর দুর করে তাড়িয়ে দেয়। হ্যালোবাইকের রেজিস্ট্রেশনের নামে চালক ও মালিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিচ্ছে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে দুখী মানুষের পাশে দাঁড়াবো।
এ আলোচনা সভায় তালুকনগর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাইনুদ্দিন আহাম্মেদ, জরিনা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল করিম বিশ্বাস পিয়ারা, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ তোতা, শ্রমিক নেতা কবিরুল আলম কবীরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।