বাংলাদেশের মানবাধিকার চর্চার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, তারা মনে করেন প্রতিবেদনে দেশের বিচার বিভাগ, নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রকৃত অবস্থা ফুটে উঠেছে।
শুক্রবার এক বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের মাধ্যমে বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী' শাসনের ফলে মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ আন্তর্জাতিকভাবে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, র্যাব ও এর সাত (সাবেক ও বর্তমান) কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সেই সত্যকে আরও প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস এর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার আহ্বান বিএনপির
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের কারাগারের অবস্থা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, রাজনৈতিক বন্দি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় স্বেচ্ছাচারী বা বেআইনি হস্তক্ষেপ ই্ত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের ফলে হেফাজতে মৃত্যু, আন্দোলনকারীদের বাবা-মা, ভাই-বোনদের গ্রেপ্তার, বিচারিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা, বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে খালেদা জিয়াকে 'মিথ্যা' মামলায় কারাগারে পাঠানোর প্রকৃত সত্য প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না: বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, মার্কিন প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ২০১৮ সালের নির্বাচনকে একটি প্রহসন হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘অনির্বাচিত’ আওয়ামী সরকারের অধীনে কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।