এদিন ফের মায়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা শুনানি করেছেন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করেছেন।
এছাড়া দুদকের পক্ষ থেকে সোমবার শুনানি করা হবে বলে আদালতকে জানালে আদালত সোমবারও শুনানির দিন রেখেছে।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট পুনঃশুনানি শেষে হাইকোর্ট রায়ের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ঠিক করেছিল।
আদালতে মায়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, ড. বশির আহমেদ ও সাঈদ আহমেদ রাজা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে খুরশীদ আলম খান জানান, ‘আজ রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওনার (ত্রাণমন্ত্রী) খালাসের পক্ষে আইনজীবীরা শুনানি করেছেন। এর আগে আইনজীবীরা মামলা রিমান্ডে পাঠানোর আবেদন করলেও এখন খালাস চান। সে কারণে আমিও দুদকের পক্ষ থেকে শুনানি করবো। আদালত সোমবার দুদকের পক্ষে শুনানির জন্য দিন রেখেছেন।’
২০০৭ সালের ১৩ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক নূরুল আলম সূত্রাপুর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়। একইসাথে জরিমানাও করে। আপিলের পর ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগের এ নেতার ১৩ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেছিল হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদনের পর ২০১৫ সালের ১৪ জুন খালাসের রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ।
একইসাথে হাইকোর্টে নতুন করে আপিল শুনানির নির্দেশও দেয়া হয়। সে অনুসারে হাইকোর্টে মায়ার আপিলের ওপর
পুনঃশুনানি শেষ হয় গত ১৪ আগস্ট।