রাজাকার আর মুক্তিযোদ্ধার রাজনৈতিক চিন্তা চেতনা কখনো এক হয় না বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী।
তিনি বলেন, 'শুধুমাত্র রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধাই না, রাজাকার পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানের রাজনৈতিক চিন্তা চেতনাও কখনো এক হয় না। তাই যুবলীগের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রার্থীর পারিবারিক রাজনৈতিক অতীত রেকর্ডও দেখতে হবে। যাতে করে জামায়াত-বিএনপি-স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি কেউ যেন পদ পদবীতে আসতে না পারে।'
মঙ্গলবার ফরিদপুর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নিক্সন চৌধুরী বলেন, 'বিগত সময়ের যুবলীগের কথা ভুলে যান। বিগত দিনে ১৭ বছর ২০ বছর অনেক জেলা উপজেলায় কমিটি না করে একই লোক পদে থেকেছেন। তা আর হবে না। নির্দিষ্ট সময়ে সব জায়গায় সম্মেলন অনুষ্টিত হবে। কোথাও জামায়াত-শিবির-বিএনপির কোন লোক যাতে যুবলীগে ঢুকতে না পারে সে ব্যপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।'
তিনি বলেন, যুবলীগ চলে তার নিজস্ব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, যুবলীগের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে। যুবলীগের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কোন এমপি মন্ত্রীর সুপারিশ শোনা হবে না।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠুর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মো. শহিদুল হক রাসেল, অর্থ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন ও বিপ্লব মোস্তাফিজ।
আরও পড়ুন: রাজাকারদেরকে আমরা মোকাবিলা করতে জানি: হেফাজতের সমালোচনায় জয়
সভায় জেলার কোতোয়ালি, ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন ও ফরিদপুর পৌর যুবলীগের কমিটি ভেঙে দিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
এছাড়া নব গঠিত ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি আগামী ৯০ দিনের মধ্যে জেলার সম্মেলন আয়োজন করবে।