তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের ধারণা আসন্ন শীত মৌসুমে করোনার প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা কেউ জানেনা। শীত মৌসুমে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে সরকারের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে বা কেমন প্রস্তুতি আছে তা দেশবাসী জানতে চায়। কারন, শীতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দৃশ্যমান প্রস্তুতি নেই।’
রবিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে ফেনী জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভায় জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি সম্বন্ধে বিভ্রান্তি বিরাজ করছে। দেশের মানুষ জানেনা করোনার সংক্রমণ বাড়ছে নাকি কমছে।
করোনা মোকাবিলায় হাততালি পাওয়ার মত স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কোনো সাফল্য নেই উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগীর জটিলতা বেড়ে গেলে যে চিকিৎসা প্রয়োজন তা সরকারি হাসপাতালগুলোতে নেই। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল বা জেলা পর্যায়ে করোনার চিকিৎসা সেবা নেই বললেই চলে।’
‘দেশের কিছু বেসরকারী হাসপাতালে করোনার উন্নত চিকিৎসা আছে কিন্তু তা খুবই ব্যয়বহুল। সাধারণ মানুষের সামর্থ নেই বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার,’ বলেন তিনি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, করোনাকালে ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে অনেকেই জীবন চালাচ্ছে। তাই আইনের দোহাই দিয়ে হতদরিদ্র মানুষের জীবিকায় আঘাত দেয়া যাবে না। করোনাকালে মানুষকে বাঁচতে দিতে হবে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আগামী দিনের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি অত্যন্ত সম্ভবনাময়। দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ফেনী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন চৌধুরী রাশেদের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যানের মধ্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সুনীল শুভরায়, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, যুগ্ম মহাসচিব বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম, ফেনী জেলা জাতীয় পার্টি নেতা ইকবাল আলমগীর, ভিপি জহির উদ্দিন মজুমদার, রেজাউল গনি পলাশ প্রমুখ বক্তব্য দেন।