তিনি বলেন, ‘নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সরকার পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে ৬০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে তা আরও বাড়ানো হবে।’
সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার আইসিইউসহ জরুরি সেবা সম্প্রসারণ এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও এই সঙ্কটের সময়ে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
এছাড়াও চিকিৎসা সরঞ্জাম, সুরক্ষা সরঞ্জাম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, বলেন ওবায়দুল কাদের।
উপসর্গ দেখা গেলে তিনি সবাইকে তা আড়াল না করে নমুনা পরীক্ষা করার জন্য আহ্বান জানান।
রেড জোনে লকডাউন বিষয়ে কাদের বলেন, এই অঞ্চলগুলোর লোকেরা, যারা লকডাউনের আওতায় এসেছেন, তাদের সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কঠোর ও ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
করোনাভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনা করে, সরকার কয়েকটি জেলা এবং সিটি করপোরেশনের কয়েকটি অঞ্চলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে, বলেন কাদের।
তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যেভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তাতে করে তাদের প্রশংসা করেছে করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সফর করা চীনা বিশেষজ্ঞ দল।
কাদের সকলকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে ২০ সেকেন্ডের এক সেকেন্ড অবহেলা করলে ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
ত্রাণ কর্মকাণ্ডে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগের জবাবে কাদের তাদের স্পষ্ট করতে বলেন, কারা কোথায় তাদের বাধা দিচ্ছে এবং প্রমাণও দিতে বলেন।
মানবিক কাজে বাধা দেয়া আওয়ামী লীগের নীতি নয় যোগ করে তিনি বলেন, অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।