বিএনপি সিনিয়র নেতা বরকতউল্লাহ বুলু অভিযোগ করেছেন, সরকার শুধু জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও পাতাল রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে সংকট চলছে। ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। এই সংকটের মধ্যে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ২০ কিলোমিটার পাতাল রেলের জন্য ৫২ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছেন। লুটপাটের জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন।’
শুক্রবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ যখন বেকার তখন এ ধরনের মেগা প্রকল্প নেয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
আরও পড়ুন: গাবতলী থেকে মিরপুর পর্যন্ত বিএনপির তৃতীয় পদযাত্রা শুরু
তিনি বলেন, ’৫২ হাজার কোটি টাকার পাতাল রেল থেকে দেশ কী সুবিধা পাবে?’
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বুলু বলেন, সরকার অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে কৃষি খাতে অথবা কল-কারখানা স্থাপন করে বেকারদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। ‘আমরা জানি আপনি এটি করবেন না। কারণ এটি আপনার জন্য জনগণের অর্থ লুট করার সুযোগ তৈরি করবে না।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম নাগরিক অধিকার আন্দোলন (নাগরিক অধিকার আন্দোলন)।
প্রথম মেট্রো রেল চালু হওয়ার এক মাস পর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
বুলু অভিযোগ করেন, সরকার বাংলাদেশ থেকে ১৪ লাখ কোটি টাকা কানাডা, দুবাই, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে।
তিনি আরও বলেন, একজন এমপি, যিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীও, তিনি চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ১৭টি বাড়ির মালিক হয়েছেন। ‘মনে হচ্ছে আলাদিনের জাদুর প্রদীপ তাদের হাতে।’
বুলু বলেন, এভাবে কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল পাওয়ার প্রজেক্টের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাট করে আওয়ামী লীগের লোকজন বিদেশে বিশ্বের ধনীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিদ্যুৎ খাত লুটপাট করা হয়েছে। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে কোনো প্রকল্পের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ মামলা করতে পারে না। কিন্তু সরকার সংসদে ক্ষতিপূরণ বিল পাস করেছে যাতে কুইক রেন্টাল পাওয়ার নামে লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে মামলা করতে না পারে।’
বিএনপি নেতা বলেন, দেশকে দুঃশাসন ও লুণ্ঠন থেকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান শাসনের পতন নিশ্চিত করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য জনগণ আর বহন করতে পারবে না: বিএনপি