উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্টি ও মাঝারদিয়া গ্রামে শুক্রবার এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সালথায় আ’লীগ সভাপতির ওপর হামলা, আহত ১৫
বিবাদমান দুপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বর্তমান ও সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যান। তারা সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এলাকাবাসী জানান, মাঝারদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান এবং সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাহিদুজ্জামানের মাঝে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বিরোধ আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
আরও পড়ুন: পাবনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ’লীগ নেতাকে হত্যা
শুক্রবার সকালে উভয় পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় কুমারপট্টি গ্রামে কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এরপর দুপুরে দুপক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে ১৫ বাড়িতে।
পুলিশ দুটি সাউন্ড গ্রেনেড, ১৪টি কাঁদানে গ্যাসেল শেল ফাটিয়ে এবং শর্টগানের ৫৬টি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার কুমারপট্টি গ্রামে উভয় নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বিকাল থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ রাত পর্যন্ত চলে। এতে ছয়জন পুলিশসহ ৩১ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জাপা-আ’লীগ সংঘর্ষে জাপা কর্মী নিহত
হাবিবুর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে কুমারপট্টি গ্রামের সংঘর্ষে সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুজ্জামানের সমর্থকরা অংশ নেয়। সংঘর্ষ শেষে সেখান থেকে ফিরে গ্রামে এসে আমাদের সমর্থক আতিকুর রহমানকে মারধর করে। এ নিয়ে বিকালে সংঘর্ষ হয়। শুক্রবার সকালে আমাদের আরেক সমর্থক মিজান শেখ পেঁয়াজের চারা বিক্রি করতে গেলে মাঝারদিয়া বাজারে তাকেও মারধর করে সাহিদুজ্জামানের সমর্থকরা। এ নিয়েই ফের সংঘর্ষ শুরু হয়।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাহিদুজ্জামান বলেন, ‘কুমারপট্টি গ্রামের সংঘর্ষ শেষে হাবিবুর রহমানের সমর্থকরা আমাদের সমর্থক জিনায়েত মোল্লার বাড়িঘর ভাঙচুর এবং আমাদের সমর্থকদের ধাওয়া দেয়। এরপর থেকে মূলত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। আমি এলাকা শান্ত রাখার জন্য সব সময় পুলিশের সাথে যোগাযোগ রাখছি।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপি-আ’লীগ সংঘর্ষ-পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণ, আহত ১৫
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ বলেন, এখনও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করায় ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।