সোমবার সকালে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বৌ বাজার এলাকায় এ ঘটনায় আব্দুর বর মোল্যাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
আব্দুর বর মোল্যার অনুসারীরা জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব মোল্যার সাথে কাইয়ুম মোল্যার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরা দুজনই এ ইউনিয়নের সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী। এই বিরোধের জেরধরে সোমবার সকালে বৌ বাজার এলাকায় রব মোল্যার সমর্থক আক্কাস মোল্যাকে গালাগালি করে কাইয়ুম মোল্যার সমর্থকরা। খবর পেয়ে কয়েকজন লোক নিয়ে ওই এলাকায় যান আব্দুর বর মোল্যা।
এ সময় প্রতিপক্ষের কাইয়ুম মোল্যা ও যুবলীগ নেতা খন্দকার সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে বর মোল্যাসহ তার সাথে থাকা লোকজনের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন বর মোল্যার ছেলে লিপন মোল্যা। এতে রব মোল্যাসহ ১৫ জন আহত হয়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কাইয়ুম মোল্যা বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে রব মোল্যার উপর হামলা করা হয়নি। বরং সাধারন জনগন তাকে যেভাবে ঘিরে ধরেছিল, তাতে আমি যদি না ঠেকাতাম তাহলে পাবলিক তাকে কুপিয়ে মেরে ফেলতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ইউপি নির্বাচনে নিজেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে আমার উপর ক্ষিপ্ত বর মোল্যা। ঘটনার সময় তিনি লোকজন নিয়ে আমার সমর্থক সানোয়ারের উপর হামলা করতে আসে এবং তাকে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে ও তার লোকজনকে ঘেরাও করে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে তিনি ও তার লোকজন আহত হয়।’
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিবেশ এখন শান্ত।