করোনা মহামারির জন্য দুই বছর নীরবে উদযাপনের পর সারাদেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রবিবার নোবেল বিজয়ী বাঙালি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন কবি, শিল্পী, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, সেইসঙ্গে একজন সুরকার যার কাজ ১৯ শতকের শেষের দিকে এবং ২০ শতকের প্রথম দিকে বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতকে নতুন রূপ দিয়েছিল।
১৮৬১ সালের ৭ মে কলকাতার জোড়াসাঁকো বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সারদা দেবীর ১৩ জন জীবিত সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন।
১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলির জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জেতার পর তিনি এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী হন।
তার দুটি গান এখন বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী রবিবার
রবীন্দ্রনাথ রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিষয়ে উপন্যাস, ছোটগল্প, গান, নাটক এবং প্রবন্ধ লিখেছেন। গীতাঞ্জলি, গোরা এবং ঘরে-বাইরে, চোখের বালি তাঁর বিখ্যাত রচনাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য পরিকল্পনা করা সকল অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘পঁচিশে বৈশাখের আহ্বান যেন প্রতিটি বাঙালির হৃদয় স্পর্শ করে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বিশ্বকবির জীবন দর্শন ও তাঁর সৃষ্টি বাঙালিদের চিরকাল শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে অনুপ্রাণিত করবে।’
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার রবীন্দ্রনাথের জীবন ও কর্ম তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
প্রতি বছরের মতো, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ঠাকুরের জীবন ও কর্মের উপর পারফরম্যান্স এবং বক্তব্যের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।