ইমাম খোমেইনী (রহ.) ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি ইসলামী বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বের অসহায় ও বঞ্চিত মানুষের জন্য আশার আলো যুগিয়েছেন। তিনি চিন্তা ও সৃষ্টিশীলতার জগতে এতো বেশি বিষয়ের সমন্বয় ঘটিয়েছেন যা সত্যিই বিস্ময়কর। তিনি শুধু ইরানকে নয়, বরং গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিপ্লব আজ বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের জন্য উন্নয়নের এক রোল মডেল।
শনিবার (০৫ জিুন) বিকালে ইসলামি বিপ্লবের রূপকার ইমাম খোমেইনীর (রহ.) ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এই ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথ-ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আ ন ম মেশকাত উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের হেড অব মিশন জনাব আলী পিরি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইমাম খোমেইনী (রহ.) ছিলেন একাধারে একজন দার্শনিক, ফকীহ, রাজনৈতিক নেতা এবং আধ্যাত্মিক সাধক। তার ইরফানী ব্যক্তিত্ব অন্য সব গুণের চাইতে বেশি সমাজকে প্রভাবিত করে।
আরও পড়ুন: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী আজ
ইমাম খোমেইনী এমন একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন, যিনি রাজনীতিকে ধর্মের জন্য, ক্ষমতাকে জনগণের জন্য আর সমস্ত কিছুকে আল্লাহর জন্য চাইতেন। আল্লাহকে অন্বেষণ, খোদাভীতি আর মানুষের প্রতি ভালোবাসা, এই তিনটি বৈশিষ্ট্য ছিল ইমাম খোমেইনীর সাফল্যের রহস্যকথা এবং জনগণের মাঝে তার উচ্চ মর্যাদার কারণ। তিনি জনগণের হৃদয়ে শাসন করতেন।
ইমাম খোমেইনীর আদর্শ ও চিন্তাধারা ছিল তাওহীদি চিন্তাধারা ও হোসাইনী আন্দোলন থেকে বিচ্ছুরিত আলোকরশ্মি। যে চিন্তাধারার উৎস ছিল অনন্ত অসীম মহান আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত। ঠিক সেই সূর্যের ন্যায় যার কোনো অস্ত নেই। আর এই কারণেই ইরানের ইসলামী বিপ্লব ও ইমামের আন্দোলনের জ্যোতি বিশ্বের সকল দেশ ও জাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। আর তার সত্যকামী ও গৌরবময় চিন্তাধারা পৃথিবীর দূরবর্তীতম প্রান্তেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে।