জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে রবিবার বিকালে লালন একাডেমির সভাপতি ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
লিখিত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের সভা সমাবেশ বন্ধ রয়েছে। কুষ্টিয়ায় এ পর্যন্ত ৭১ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত আছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বড় ধরনের গণজমায়েত করা হলে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। তাই সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক কুষ্টিয়ায় সব ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর লালন একাডেমির অ্যাডহক কমিটির কার্যকরী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক লালনভক্তদের জানানো যাচ্ছে যে, দেশের করোনা মহামারি বিবেচনা করে এবং সরকারের করোনা সতর্কীকরণ নিয়মাবলি অনুসরণ করে আগামী ১ কার্তিক ফকির লালন শাহের ১৩০তম তিরোধান দিবস পালন (লালন মেলা, আলোচনা সভা এবং লালনসংগীতানুষ্ঠান আয়োজন) করা সম্ভব হচ্ছে না। অনুষ্ঠান না হওয়ায় জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন লালনভক্তদের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি ১ কার্তিক (১৬ অক্টোবর) আখড়াবাড়িতে লালন ভক্ত ও অনুসারীদের না আসার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান এবং তাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত বলেন, লালনের প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকার পরও আমরা তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারছি না। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামীতে আরও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করবো। এজন্য তিনি সব লালন ভক্ত, সাধক ও গুণীজনদের সহযোগিতা কামনা করেন।