সোমবার এ ঘটনার পর পুলিশকে জানিয়েও প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে
জানা গেছে, ১৪২ নং দক্ষিণ চরমাধবদিয়া মৌজার ৫১৮২ নং দাগের ২৩ শতাংশ জমির মধ্যে সাড়ে ১১ শতাংশ জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি ওই সম্পত্তির দাবিদার মো. আতাউল হক চুন্নু খাঁ ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নালিশি সম্পত্তি নিয়ে এক মোকদ্দমা করলে গত ২১ নভেম্বর আদালত ওই সম্পত্তিতে কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ, আকার আকৃতি পরিবর্তন না করা ও মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানানোর আদেশ দেন।
সোমবার বিকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, মো. লুৎফর রহমান নান্নু খাঁ সকাল হতে কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে নালিশি সম্পত্তির চারদিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দখলে নিয়েছেন। সেখানে তিনি একটি টিনের ছাপড়াও বসিয়েছেন।
নান্নু খাঁ দাবি ওই সম্পত্তির কিছুটা পৈত্রিক আর কিছুটা শরিকের নিকট হতে কিনেছেন। বিএস রেকর্ড ও খাজনা দাখিলাও রয়েছে তার নামে। জোর করে তিনি কারও সম্পত্তি দখল করেননি। আদালতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জানেন না বলে দাবি তার।
মামলার অপরপক্ষ চুন্নু খাঁ বলেন, ওই সম্পত্তি জোর করে দখলে নিয়ে গাছপালা কেটে নেয়ার হুমকি দিলে তিনি লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গত ২১ নভেম্বর আদালত স্থিতাবস্থা জারি করেন।
তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ এর আগে তার এক ভাইকেও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জখম করেন। পুলিশের কাছ থেকেও কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, ওই সম্পত্তি নিয়ে দু’পক্ষের বিবাদের বিষয়টি নজরে আছে। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাঁশের বেড়া দিয়ে দিয়ে জমি দখলের কোনো অভিযোগ কেউ করেনি। কেউ অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।