সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকায় ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষগ্রিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ গত ১১ মাসেও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। অসংখ্য জায়গায় ঝুকিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। নদীতে একটু জোয়ার বাড়লেই বেড়িবাঁধ উপচে নদীর পানি লোকালয়ের দিকে ধেয়ে আসছে।
এদিকে ‘সুপার মুন’ পূর্ণিমার প্রবল আকর্ষণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে আশাশুনির খেলপেটোয়া নদীর দয়ারঘাট-জেলেখালি এলাকায় বিকল্প রিংবাঁধ ভেঙে চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে আশাশুনি উপজেলা সদরের দয়ারঘাট, দক্ষিণপাড়া, আশাশুনি সদর, জেলেখালি, গাছতলা গ্রামের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘেরে নদীর নোনাপানি ঢুকে পড়ে। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রাতভর ধসেপড়া বেড়িবাঁধ রক্ষার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
বুধবার একই এলাকা দিয়ে নদীর প্রবল জোয়ারের পানি লোকালয়ের দিকে ছুটে আসছে। একইভাবে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নে কুড়িকাউনিয়া, হরিসখালি ও সুভদ্রকাটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওইসব এলাকার ওপর দিয়ে নদীর উত্তল স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী জানান, খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের পানিতে জেলেখালি-দয়ারঘাট রিংবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে হু হু করে পানি ঢুকছে। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে শত চেষ্টা করেও ভাঙন ঠেকাতে পারেনি। এতে এলাকার মৎস্য ঘের, ঘর-বাড়ি নতুন করে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। মাত্র কয়েকমাস আগে রিংবাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। গত বছর ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্পানে আশাশুনির দশটি পয়েন্ট ভেঙে যায়। যার মধ্যে দয়ারঘাটও ছিল। তখন ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে বিকল্প রিংবাঁধ দেয়া হয়। স্থানীয় মানুষের দাবি ছিল ত্রাণ নয়, তারা চায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় ফের নতুন করে এলাকার মানুষ দুর্দশায় পড়ল।