প্রতারণার আভিযোগে এবার চট্টগ্রামে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাত জনের নামে মামলা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে নুরুল আবছার পারভেজ নামে এক গ্রাহক মামলাটি করেছেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা, চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্লাহ, বীথি আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও ই-অরেঞ্জের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম রাসেল।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবি গোলাম মাওলা মুরাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ই-অরেঞ্জ সারাদেশে লাখ লাখ গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমরা চট্টগ্রামের প্রতারিত গ্রাহকদের টাকা ফেরত চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও কয়েকদিন আগে প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন এবং প্রতারিতদের অর্থ ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করি, আমরা ন্যায়বিচার পাবো।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৭ মে এর পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন গ্রাহক নুরুল আবছার পারভেজ। নির্দিষ্ট সময়ের পরও এমনকি এখন পর্যন্ত গ্রাহককে কোনও পণ্য সরবরাহ করেনি। অর্ডার নেয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়, কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ না করে দেশে প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। আত্মসাৎ করা এ টাকার মধ্যে চট্টগ্রামের নুরুল আবছার পারভেজ, মোর্শেদ সিকদার ও মাহমুদুল হাসান খান নামের তিনজন ব্যবসায়ীর প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়াসহ ৩ জন কারাগারে
একই অভিযাগে এর আগে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত ও কুমিল্লার আদালতেও সোনিয়া মেহজাবিন এবং মাসুকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, কর্মকর্তা আমান উল্লাহ ও সাবেক কর্মকর্তা নাজমুল আলম রাসেল অন্য এক প্রতারণা মামলায় ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে আটক আছেন।