সোমবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে অস্ত্র মামলায় সাইফুর রহমানকে রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
এদিকে ঘটনার দিন মধ্যরাতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানকালে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি রামদা, দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরদিন শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলার আসামি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমানকে (২৮) আসামি করে ও পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই অস্ত্র মামলায় সাইফুর রহমানকেও রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ।
মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ। মামলার অপর তিন আসামি অজ্ঞাত। এজাহারভূক্ত ছয় আসামিসহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচদিন করে প্রত্যেককে রিমান্ডে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে রিমান্ড শেষে সকলেই কারাগারে রয়েছেন।