ছেলে সাদ্দাম হোসেনকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করার অভিযোগে মঙ্গলবার বিকালে মামলাটি দায়ের করেন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজার এলাকার সুলতান আহমদের স্ত্রী গুল চেহের।
অভিযোগে বলা হয়, সাদ্দাম হোসেনকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন প্রদীপ কুমার। এমনকি পাঁচ লাখ টাকা আদায় করার পরও বাকি টাকা দিতে না পারায় তাকে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যা করা হয়।
কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলায় অভিযুক্ত ২৮ আসামির মধ্যে ২৭ জনই পুলিশ সদস্য। অন্যজন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নুরুল আমিন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ইনসাফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ জুলাই টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হ্নীলার মৌলভী বাজার এলাকার বাড়ির পাশ থেকে গুল চেহেরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও জাহেদ হোসেনকে ধরে নিয়ে যায়। তাদের ছাড়িয়ে আনতে ফাঁড়িতে যান গুল চেহের। এ সময় তার কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন মশিউর। এক পর্যায়ে পাঁচ লাখ টাকায় বিষয়টি রফা হয় এবং তিন লাখ টাকা মশিউরের হাতে দেন গুল চেহের। বাকি দুই লাখ টাকা পরদিন মশিউরের কথা মতো দফাদার নুরুল আমিনের হাতে দেয়া হয়। পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার পর জাহেদ হোসেনকে একটি মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। আর ৭ জুলাই সাদ্দাম হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে ‘বন্দুকযুদ্ধ’র ঘটনা সাজানো হয়।
আইনজীবী ইনসাফুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মামলাটি ফাইল করা হলে আদালত ৩টার দিকে শুনানি শেষে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।