গাজীপুরে এক নারী হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশ। নিজের মেয়েই মাকে গভীর জঙ্গলে নিয়ে ভাড়াটে খুনি দিয়ে গলা কেটে হত্যার দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মেয়েসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্ব খন্ড গ্রামের মো. ফরিদের স্ত্রী ও নিহতের মেয়ে শেফালী (৩৫), শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার খড়িয়া কাজিরচর গ্রামের মেরাজ উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (২৫)।
নিহত মিনারা (৫৭) শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পুর্ব খন্ডগ্রামে আবু তাহেরের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে মাকে হত্যাচেষ্টা
শুক্রবার (৪ মার্চ) প্রেস ব্রিফিংয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন এই সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে সাধুখার টেক এলাকার নির্জন স্থানে মিনারার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন শেফালী ও তার সহযোগী সোহেল রানাকে আটক করলে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে।
উল্লেখিত স্বীকারোক্তির তথ্যের বরাতে সহকারী পুলিশ সুপার জানান, মাকে হত্যার জন্য সহকর্মী সোহেল রানা ১ লাখ টাকা দাবি করেন। এতে শেফালী রাজি হয়ে সোহেলকে অগ্রিম ১৫ হাজার টাকা দেন এবং বাকি ৮৫ হাজার টাকা কাজ শেষে দেবেন বলে জানিয়ে তারা মিনারাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
আরও পড়ুন: স্বামীকে মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় ব্লেড দিয়ে মাকে হত্যা, মেয়ে আটক
পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাকে ওয়াজ শোনানোর কথা বলে সন্ধ্যায় মাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। জঙ্গলের ভেতর নিয়ে যেতে যেতে এক সময় শেফালী ইট দিয়ে তার মায়ের মাথায় আঘাত করেন। পরে শেফালী তার মাকে মাটিতে চিৎ করে শুইয়ে বুকের ওপর বসে দুই হাত দিয়ে মাথা ও গলা টান দিয়ে ধরলে সোহেল ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
বর্তমানে তারা গাজীপুর কারাগারে রয়েছেন বলে জানান তিনি।