তারা হলেন- সাতক্ষীরার শহরের কামাননগরের সৈয়দ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (৮০) ও দেবহাটা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৪৫)।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, গত ১৪ জুলাই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন আব্দুর রহমান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মারা যান। এর আগে গত ১৫ জুলাই তার নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
এদিকে, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১০ জুলাই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন রহিমা খাতুন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান। তারও নমুনা সংগ্রহ করে গত ১১ জুলাই যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এনিয়ে, সাতক্ষীরায় করেনার উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৩৭ জন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ১৩ জন।