কেনাকাটায় ব্যস্ত মহানগরবাসী। ক্রেতা আকর্ষণে নতুন ডিজাইনের নানা পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারাও। মেয়েদের থ্রি-পিস কেনার পাশাপাশি অনেকেই কিনছেন পছন্দের গহনা এবং প্রসাধনীও। ছোটদের কেনাকাটায়ও পিছিয়ে নেই অভিভাবকরা। ঈদের কেনাকাটায় পোশাক, গহনার সঙ্গে স্মার্টফোন কেনারও চাহিদা বাড়ায় ভিড় বেড়েছে প্রতিটি দোকানে। তবে ঈদের কেনাকাটা বাড়লেও মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি হুমকির মুখে: নারায়ণগঞ্জে ঈদের কেনাকাটায় ধুম
এদিকে, বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের কারণে রোজার শুরুতে মার্কেট বন্ধ ছিল। মার্কেট খোলার অনুমতি পাওয়ার পর প্রথম দিকে বিক্রি কম ছিল। কিন্তু কয়েকদিন থেকে পুরোদমে কেনাবেচা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় সকাল থেকেই বিভিন্ন বিপণিবিতানে ক্রেতা সমাগম চোখে পড়ার মতো। পরিবার পরিজন এবং বন্ধু বান্ধব নিয়ে অনেকেই এসেছেন পছন্দের পণ্যটি কিনতে।
মহানগরীর নিউ মার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স, জলিল মার্কেট, হকার্স মার্কেট, ডাকবাংলো মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, মশিউর রহমান মার্কেট, কবি কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, এসএম এ রব শপিং মার্কেট, দরবেশ চেম্বার, নান্নু সুপার মার্কেট, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে অনেক ক্রেতাই ভিড় করছেন। মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটা বাড়লেও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। বেশিরভাগ দোকানে দেখা যায়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। গাদাগাদি করেও জিনিসপত্র কিনতে দেখা গেছে।
এসএমএ রব শপিং মার্কেটের বিসমিল্লাহ বস্ত্র বিতানের মালিক কামাল হোসেন জানান, লকডাউন থাকার কারণে দোকানিদের বিক্রি কম ছিল। কিন্তু সে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে উঠছেন তারা।
সাউথ সেন্ট্রাল রোডের ফেব্রিক্স কালেকশনের মালিক জাবের হোসেন জানান, ঈদের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। শেষ সময়ে তাই বিক্রি ভালোই হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কেনাকাটায় সতর্ক না হলে পরিবারের জন্য মৃত্যু কিনে আনার মতো হবে : ক্যাব
রব শপিং কমপ্লেক্সের শাড়ি বিক্রেতা শাহীন খান জানান, মার্কেট খোলার পর ক্রেতাদের তেমন একটা সাড়া মেলেনি। আজ দুদিন বেচাকেনা বেশ ভালো হচ্ছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের ভিড় তত বাড়ছে। ক্রেতা সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অপরদিকে, নিক্সন মার্কেটের পাঞ্জাবীর দোকানগুলোতে সকাল থেকে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। সেখানে পা রাখার জায়গা ছিল না। মার্কেট কর্তৃপক্ষ মাঝে মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে মাইকিং করলেও কোন দোকানিকে তা মানতে দেখা যায়নি। শুধু নিক্সন মার্কেটের নয় আশেপাশের সব মার্কেটে চিত্র একই রকম।
ডুমুরিয়া থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা আরিফুল ইসলাম জানান, মার্কেটে ঢুকে গরমের কারণে তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুনেছিলেন মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে, তবে এখানে এসে বাস্তব চিত্র দেখে অবাক হয়েছেন তিনি।
কয়েকজন ক্রেতা বলেন, মার্কেটের দোকান তাড়াতাড়ি বন্ধ হওয়ার কারণে কেনাকাটায় ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে। মানুষের ভিড়ে চাইলেও স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া অধিকাংশ বিক্রেতার দাবি, যদি দোকান খোলা রাখার সময় বাড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে ভিড় কমবে, সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হবে, ক্রেতাদের চাপ কমবে।