বগুড়ায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২৭ জন। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি হাসপাতাল রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। মারা গেছেন আরও ৪ জন।
সোমবার জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. মোস্তাফিজুর জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০৪টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে নতুন করে ১২৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ২৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৫১ জন। নতুন আক্রান্ত ১২৭ জনের মধ্যে সদরের ৭৯ জন, আদমদীঘির ১২ জন, নন্দীগ্রামে ৮ জন, গাবতলীতে ৮ জন, শাজাহানপুরে ৮ জন, শিবগঞ্জে ৬ জন, ধুনটে ৪ জন, কাহালু ও দুপচাঁচিয়ায় একজন করে রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫৬০ জন, সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৪৯২ জন, মোট মৃত্যু সংখ্যা ৩৭৯ জন ও বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ৬৮৯ জন।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফরম পূরণ স্থগিত
এছাড়া করোনা চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত দুই হাসপাতাল শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল ও মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালের ৪০০ বেড ফাঁকা নেই। তবে বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনও অর্ধশতাধিক বেড ফাঁকা রয়েছে। ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন না।
এদিকে চিকিৎসা সংকটের মাঝে আশার খবর হলো শজিমেক হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা বাড়াতে দ্বিতীয় আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই ল্যাব চালু হলে নতুন করে দিনে আরও প্রায় ৪০০ নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ, শুধু রিকশা চলবে
বগুড়া পৌর এলাকায় করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে। এই নির্দেশ বাস্তবায়নে পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলররা তৎপর রয়েছেন।
পৌরসভার পুরাতন ১২টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় বিভিন্ন রাস্তায় বাঁশ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের জামিলনগর, সেউজগাড়ী, মালগ্রাম, সবুজবাগ সহ পুরো ওয়ার্ড এলাকায় বেরিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এর ফলে ওই সব এলাকায় জনসমাগম কমে এসেছে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় আরও ২৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১২০২
এ ব্যাপারে ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অধ্যক্ষ মো. এরশাদুল বারী এরশাদুল বলেন, প্রতিটি এলাকার রাস্তায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বাঁশ দিয়ে বেরিকেড সৃষ্টি করা হয়েছে। এজন্য কষ্ট হলেও করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
তিনি এই কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।