ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সীমান্তবর্তী বায়েক ও গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ৩২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানির তোড়ে কসবা-নয়নপুর সড়ক ভেঙে গিয়ে তৈরি হয়েছে জনদুর্ভোগ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫টি আশ্রয়কেন্দ্র হলেও অধিকাংশ মানুষই পানিবন্দি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সালদা নদীর পানি বেড়ে রাস্তার ওপর উঠে যায় এবং বাড়িঘর ডুবে যায়। মানুষ ছোট ছোট শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে থাকেন। রাস্তাঘাট বাড়িঘর তলিয়ে কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও কোমর থেকে বুক অবধি পানি।
আরও পড়ুন: বন্যায় ১৮ জনের মৃত্যু, ৫০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বায়েক ইউনিয়নের ৩৪ গ্রামের মধ্যে প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি। এদিকে খাবারের অভাবে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। এছাড়া পানিবন্দি পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার দিচ্ছেন এলাকার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দিদের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে।’
এছাড়া আটকা পড়া পানিবন্দি মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যায় ৩ উপজেলায় ৫ জন নিহত