সুনামগঞ্জে তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। এতে লন্ডভন্ড হয়েছে ঘর-বাড়ি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈদ্যুতিক লাইন ও খেতের ফসল।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা সদর, বিশ্বম্ভরপুর শান্তিগঞ্জ, দিরাই উপজেলার উপর দিয়ে এই কালবৈশাখী ঝড় ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর স্বস্তি
ঝড়ের কবলে পড়ে নারী শিশুসহ অন্তত ১৫ জন এবং শহরের কালিবাড়ি এলাকায় চলন্ত সিএনজির উপর গাছ ভেঙে পড়ায় চালকসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
আহতরা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের বৈষভেড় গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়।
ঝড়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পাগলা, কান্দিগাঁও, রায়পুর আসামপুর, বাঘেরকোনাসহ একাধিক গ্রামের শতাধিক কাঁচা ও টিনশেডের ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাগলাবাজার। বাজারের সড়কের দুই পাশের অস্থায়ী দোকানপাট লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে সড়কে পড়ে যায়।
এদিকে সুনামগঞ্জ সড়কের হাছন তোরণ এলাকায় একাধিক গাছ ভেঙে সড়কে পড়ায় দুই পাশের পরিবহন আটকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং ঘণ্টাব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের চেষ্টায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলি জমি-বাড়ি বিধ্বস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইন
পাগলা কান্দিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুব শাহরিয়ার বলেন, পাগলাবাসী এমন ঝড় আর দেখেনি। দুমড়েমুচড়ে গেছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এলাকার অনেক ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডা. নিরুপণ রায় চৌধুরী বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে আহত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঁচজন রোগী আসেন। তাদের মধ্যে সাদ্দাম নামের এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। রয়েল নামের আরেক যুবক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়, লন্ডভন্ড অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি