গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি শুক্রবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৩টার দিকে আত্মহত্যাচেষ্টা করেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৮ জুলাই) ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
মৃত আমিরুল ইসলাম (৩৪) নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মধ্যম চেঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলাম চৌকিদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে ২ কয়েদির মৃত্যু
কারাসূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই কয়েদি টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে চাদর পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে কারগারের ভেতরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কক্ষের অন্য বন্দিরা বিষয়টি টের পেয়ে কারা কর্মকর্তাদের খবর দিলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতাল এবং পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ওই কয়েদি ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট কুমিল্লা কারাগার থেকে কাশিমপুর কারগারে আসেন।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে হাতিয়ায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১৪ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের পর আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু