কুমিল্লায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
নিহত শান্তা আক্তার (২৩) দেবিদ্বার উপজেলার ৪নং সুবিল ইউনিউনের নারায়নপুর গ্রামের রুক্কু মিয়া ও রানুয়ারা বেগমের কন্যা।
শান্তার মৃত্যুর তিন দিন পর তার মা রানুয়ারা বেগমের (৪২) করা মামলায় স্বামী সাজ্জাদুর রহমান শাওন (৩০), শ্বশুর মো. শুভ মিয়া (৫৫), শাশুড়ি ইয়াসমিন বেগমসহ (৫০) সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ১নং ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলা দায়ের হয়।
শান্তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের কুমিল্লার কাপ্তান বাজার এলাকা শুভ মিয়ার পুত্র মো. সাজ্জাদুর রহমান শাওনের সঙ্গে বিয়ে হয় শান্তার। বিয়ের কয়েকদিনের মাথায় যৌতুকে জন্য শান্তাকে মারধর করা শুরু করে শাওন। এ নিয়ে কয়েকটি মামলাও করা হয়েছিল। সবশেষ তিনটি মামলার মধ্যে দুইটি মামলা নিষ্পত্তি হলেও একটি মামলা চলমান আছে।
এছাড়া বৃস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) শান্তার স্বামী শাওন তার চাচার মৃত্যুর খবর দিয়ে তাকে বাড়িতে ডেকে নেয় যায়। পরদিন শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) শান্তার বাড়িতে খবর পাঠায় সে বিষপান করেছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী নিহত রানুয়ারা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এছাড়া শান্তার স্বামী প্রথমে ব্যবসায়ের কথা বলে তিন লাখ টাকা ধার নেয়, পরে সে আরও টাকা যৌতুক চায়। না পেয়ে স্বামী শ্বশুরবাড়ির সবাই মিলে শান্তার ওপর অত্যাচার শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, হত্যার বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি। পরে আমি বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করি।
এ বিষয় কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোরশেদ জানান, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।