কুমিল্লার তিন উপজেলার পৃথক স্থান থেকে নারীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত থেকে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার ষোলনল শাকচর গ্ৰামের আলতাফ হোসেন। তিনি প্রগতি ইন্সুরেন্সের রায়পুর শাখার ইনচার্জ ও হিসাবরক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন। উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর স্ত্রী কমলা বেগম এবং অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা জানায়, কুমিল্লা—নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের খালে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার জেলখানা বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লাশটিতে কোনো আঘাতের চিহ্ন বা রক্ত দেখতে পাইনি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ময়নাতনদের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হোটেল ড্রিমল্যান্ড থেকে আলতাফ হোসেন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের পর আমরা তার পরিবারকে জানিয়েছি। তার পরিবার আসছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাজার থেকে ফেরার পথে কুপিয়ে হত্যা, লাশ মিলল সুরমায়
আমরা এখনও জানিনা তিনি এখানে কীভাবে আসলেন ও কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তদন্ত চলছে। বিস্তারিত জেনে জানাতে পারব।’
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের সড়কের পাশে স্থানীয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয় রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে।
মনোহরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমন হোসেন বলেন, ‘ওই নারী বাড়িতে একাই থাকতেন। আমরা এখনও জানিনা কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’