কুমিল্লার হোমনায় প্রেমিককে ভিডিওকলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রেমিকা। উপজেলার ঘারমোড়া ইউনিয়নের মনিপুর বাজারে ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রেমিকা সালমা আক্তার (২২) ঘারমোড়া ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে ও রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
সালমা আক্তার ওই ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় চাকরি করতেন।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে কিশোরীসহ ৩ জনের ‘আত্মহত্যা’
জানা যায়, প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে ব্যাংকের ভেতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সালমা আক্তার। এসময় প্রেমিক সাকিল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েও প্রমিকাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। প্রেমিকাকে বাঁচাতে না পেরে সাকিল বার বার দেওয়ালে মাথা ঠুকে নিজেকেও আহত করে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ রাতে লাশ উদ্ধার করে। পরের দিন ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানান, সালমার পরিবারে প্রায় সময় সালমার মা ও ভাবির মধ্যে ঝগড়া বিবাদ ও পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল। কিন্ত সালমা তা পছন্দ করতেন না।
রবিবার সকালে তার মা ও ভাবির ঝগড়ার কারণে নাস্তা না খেয়ে ব্যাংকে চলে যান তিনি। বিকালে বাড়ি গিয়ে দেখেন তাদের ঝগড়া থামেনি, বাড়িতে রান্নাও হয়নি।
তাই সালমা আক্তার অভিমান করে তার প্রেমিক সাকিলের মোবাইলে ভিডিওকল দিয়ে ব্যাংকের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
পরবর্তীতে সাকিল দ্রুত এসে দরজা ভেঙে তার প্রমিকাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্ত বাঁচাতে না পেরে নিজেও বার বার দেওয়ালে মাথা ঠুকে নিজেকেও আহত করে।
পরে ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ এসে সালমার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় সালমার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
সাবেক ইউপি সদস্য মনির হোসেন জানান, সালমা সকালে মা ও ভাবীর ঝগড়ার কারণে নাস্তা না খেয়েই ব্যাংকে চলে যায়। বিকালে বাড়িতে গিয়েও দেখেন তাদের ঝগড়ার কারণে দুপুরের রান্নাও হয়নি। এতে সে অভিমান করে ব্যাংকের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে উড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাসঁ দেয়।
এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আত্মহত্যা। তবুও প্রেমিক সাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, এরপর স্বামীর ‘আত্মহত্যা’