জেলা সিভিল সার্জন ড. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, ২৫ আগস্ট পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৮৮ জন রোগী ভর্তি হয়। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে ৬২ জন। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন ৯২৬ জন।
এ কারণে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কুসিকের আরও জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন বলে মনে করেন কুমিল্লার নাগরিক সমাজ।
নগরীর বাসিন্দা জিএম সিকান্দার বলেন, কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন স্থানে আবর্জনার স্তুপ রয়েছে। পানি জমে থাকে। এতে ডেঙ্গুসহ নানা রোগ ছড়াতে পারে। কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে তা নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। তবে রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করলে ডেঙ্গুসহ নানা ব্যাধির আশংকা থেকে মুক্ত থাকা যায়। পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আরও নজরদারী বাড়াতে হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে নগরীর ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মনজুর কাদের মনি বলেন, কাউন্সিলর আর মেয়র একা কিছু করতে পারবে না। এজন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। আমাদের আরও কিছু ফগার মেশিনের প্রয়োজন আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চারটা স্প্রে মেশিন ক্রয় করেছি। নিজের ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু জানান, ২৫ থেকে ৩১ জুলাই নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মশক নিধন কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া কাউন্সিলররা প্রতি ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন। সারা বছর ধরে আমাদের মশক নিধন কর্মসূচি চলবে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম বড়ুয়া বলেন, আমাদের নয়টি ফগার মেশিন রয়েছে। আরও ১৮টি ক্রয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা চাই প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে ফগার মেশিন থাকুক। তবে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণের স্প্রে মেশিন রয়েছে।