মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শাহ কামাল আকন্দ ও আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ধর্ষণ ও হত্যার পর জিন তাকে মেরে ফেলেছে বলে এলাকায় অপপ্রচার চালায় আসামিরা।
২০১০ সালের ১৬ জুন উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের স্কুলছাত্রী ফারজানা আক্তার বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে একটি বাঁশঝাড়ের নিচে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা আবু বকর সিদ্দিক দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা হামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেসমিন আরা বেগম আসামি আবদুর রশিদ (২৭) ও বশিরুল আলমকে (২৭) ফাঁসির আদেশ এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার রায় দেন।
কুমিল্লার আদালত সূত্রে জানা যায়, ওই মামলায় দুই আসামির ফাঁসির রায় দেয়ার পর উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষ হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়ের করে। আপিল না মঞ্জুর করে এর নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি দুই আসামির ফাঁসির রায় বহাল রাখে।
মঙ্গলবার মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা (বর্তমানে ওসি ডিবি- ময়মনসিংহ) পুলিশ পরিদর্শক শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘শিশু ফারজানাকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আবদুর রশিদ ও বশিরুল আলম নৃশংসভাবে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। গ্রেপ্তারের পর উভয় আসামি আদালতে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।’