অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘোষণা করা কারফিউ ভঙ্গ করে কুষ্টিয়ার কয়েকটি সড়ক দখলে রেখেছে আন্দোলনকারীরা। পুলিশের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।
সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকেই শহরের একাধিক স্থানে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলীর বাড়িতে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এরপর শহরের ছয় রাস্তার মোড়, পাঁচ রাস্তার মোড়, মজমপুর এলাকাসহ কয়েকটি সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে দখল করে নেয় আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা মসজিদের মাইক থেকে সবাইকে কুষ্টিয়া মডেল থানা দখল করার আহ্বান জানায়। দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা কুষ্টিয়া পৌরসভায় হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। পাঁচ রাস্তার মোড়ে অবস্থান নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছিল। তবে এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মীকে কুষ্টিয়ার রাজপথে দেখা যায়নি।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান, দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৫ থেকে ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে: সেনাপ্রধান