কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তাসহ সবকটি নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এসব নদ নদীর পানি।
পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হয়ে পড়ছে নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলসহ নতুন নতুন জেগে ওঠা চরাঞ্চলগুলো। এসব এলাকার কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষেরা।
তবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জেলায় নদী ভাঙনের তীব্রতা অনেকটা কমেছে।
বুধবার (১৩ জুলাই) বিকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) অফিস জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজারের ছড়ার পাড় এলাকার নওশাদ আলী বলেন, ‘কিছুদিন আগে বন্যা এসে রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছিল। যাতায়াতে আমাদের খুব কষ্ট ছিল। পানি কমার পর কয়েকদিন ভালোভাবে যাতায়াত করছি। আবারও পানি বাড়ার কারণে রাস্তায় হাঁটু পানি হয়েছে। আমাদের ফির চলাচলে কষ্ট শুরু হইলো।’
ওই এলাকার রুবেল মিয়া বলেন, বাড়ির চারিদিকে পানি ঠিকমতো বাহির হওয়া যাচ্ছে না। বাড়ি থেকে হাট বাজার করারও সমস্যা হয়েছে। এদিকে আবার ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়েও চিন্তার শেষ নাই। কখন যে পানিতে চলে যায় ভয়ে থাকি আমরা। গত বন্যায় সবজির খেত নষ্ট হওয়ার পর কিছু ছিল তাও এই পানিতে শেষ।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। আজ দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙন, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন
কুড়িগ্রামে বন্যায় ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দী, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট