শনিবার সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদ সীমার ৭৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়ায় বিপদ সীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।
এদিকে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে এখনও প্লাবিত রয়েছে চিলমারী উপজেলা শহর। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও থানা চত্বরসহ শহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বন্যায় দুর্ভোগে রয়েছেন জেলার তিন লাখেরও বেশি মানুষ। এতে প্রায় ৫০ হাজার বাড়িঘর বিনষ্ট হয়েছে। ফসলি ক্ষেত ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৭ কিলোমিটার সড়কপথ এবং সাড়ে ৩১ কিলোমিটার বাঁধ। ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে ৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ১৩৯টি বিদ্যালয়।
টানা বন্যায় বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয়া অসহায় মানুষরা রয়েছেন বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে। সরকারিভাবে বরাদ্দ ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে অভিযোগ তাদের।
এদিকে, মানুষজন বন্যায় ঘরবাড়ি হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়ায় বেড়েছে নানা ধরনের সামাজিক অপরাধ।
বন্যার ফলে রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলার অধিকাংশ এলাকা এখনও প্লাবিত। একই অবস্থা বিরাজ করছে চিলমার উপজেলাতেও। এ তিন উপজেলায় নতুন করে আরও অনন্ত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় বাধ্য হয়ে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র, বাঁধের রাস্তা, স্কুল, মাদ্রসাসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
কুড়িগ্রাম ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে ৪০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে ১৭০ মেট্রিক টন চাল উপজেলাগুলোর জন্য উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চালের পাশাপাশি চার লাখ টাকা, দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট, দুই লাখ টাকার শিশুখাদ্য এবং দুই লাখ টাকার গো-খাদ্য উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।