জেলায় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দফায় দফায় বন্যা আর নদী ভাঙনে সদরে একটি, রৌমারীতে দুটি, চিলমারীতে তিনটি এবং উলিপুর উপজেলায় চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে চলে গেছে। এতে শত শত শিক্ষার্থীর পড়াশুনার স্বপ্ন এখন বিলীনের পথে। সেই সাথে বিদ্যালয় না থাকা দারিদ্রপীড়িত প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে বাল্যবিয়ে বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব চরাঞ্চলে ভবিষ্যতে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদ্যালয় কোথায় স্থাপন হবে তা নিয়েও দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।
সর্বশেষ চতুর্থ দফার বন্যায় তিন দিন আগে সদর উপজেলার চর কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ধরলা নদীর ভাঙনের মুখে পড়ে।
শুধু বিদ্যালয় নয়, তার পাশাপাশি মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ, শত শত বাড়িঘরসহ গাছপালা, আবাদি জমি ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারের পেটে চলে যাচ্ছে। হুমকিতে রয়েছে সদরের নন্দ দুলালের ভিটা ও ফুলবাড়ি উপজেলার মেখলির চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নয় উপজেলার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রায় পাঁচ মাস ধরে জেলার ছোট-বড় নদ-নদীর পানি ওঠানামা করায় এখন চলছে তীব্র ভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন মোকাবিলার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না।
এদিকে, ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয় অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে চাচ্ছেন না স্থানীয়রা। চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকাতেই নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আইয়ুব আলী।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, নদীগর্ভে বিলিন হওয়া বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রৌমারী উপজেলার দুটি প্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। দ্রুতই বিদ্যালয় নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এছাড়া, বিদ্যালয়গুলোর সীমানা এলাকা নির্মাণ হবে বলেও জানান তিনি।