শনিবার ধরলা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬৫ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদ সীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা অব্যাহত থাকায় জেলার ৫৬ ইউনিয়নের ছয় শতাধিক গ্রামের প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নদী ভাঙনের শিকার হয়ে সারডোব, সাহেবের আলগা, থেতরাইসহ বিভিন্ন এলাকায় গৃহহীন হয়েছে আরও শতাধিক পরিবার। অনেকেই বাঁধে আশ্রয় নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, বন্যা কবলিতদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। তবে মেডিকেল টিমের কোনো সদস্যকে না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে বানভাসীদের।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বতুয়াতুলির চরের মুসা মিয়া বলেন, ‘বন্যা এত দীর্ঘ হবে সেটা কেউই ভাবতে পারেনি। কাজকর্ম নেই, ঘরে খাবার নেই। পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। ত্রাণ না পেলে আর বাঁচার উপায় থাকবে না।’
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, জেলার প্রধান তিনটি নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এ পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার বাঁধ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাঁধ ও স্পার রক্ষায় ১৯টি পয়েন্টে ভাঙন রোধে কাজ চলছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাস কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় এ পর্যন্ত ১৯০ মেট্রিক টন চাল, ৯ লাখ টাকা ও ৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
ঈদের আগেই বন্যা কবলিত সোয়া চার লাখ মানুষের হাতে ভিজিএফ’র ১০ কেজি করে চাল পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।