ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
এতে করে চর, দ্বীপচরসহ নদ-নদী অববাহিকার নিচু এলাকার প্রায় ৭০ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দী রয়েছে। এসব এলাকার কাঁচা সড়ক তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হক জানান, চলমান বন্যায় জেলায় প্রায় ১৬ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমির রোপা আমান ও ২৭০ হেক্টর জমির সবজি খেত, ১০০ হেক্টর জমির বীজতলা দীর্ঘদিন পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, অনেক দিন ধরে পানিতে তলিয়ে থাকায় বেশিরভাগ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বন্যার পানিতে রাস্তা ডুবে জনদুর্ভোগ চরমে
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশরী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি কিছুটা হ্রাস পেলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি আরও কিছুটা বাড়তে পারে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য ২৮০ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।