রবিবার ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৭৩ সে.মি, নুনখাওয়ায় ৬০ সে.মি এবং ধরলা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এখনও খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অসহায় হাজারো মানুষ। দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব। এছাড়া বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ৯টি উপজেলার ৬০টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ।
এদিকে রাজারহাটের বুড়িরহাট ও গাবুরহেলান স্পারের ৭০ ফিট তিস্তা নদীর পানির তোড়ে ভেসে গেছে। ভাঙনে ঘরবাড়ি ছাড়াও বিনষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের মনছের আলী বলেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্যার মধ্যে আছি। কাজ না থাকায় ঘরে খাবার নেই। মেম্বার চেয়ারম্যানও কিছু দেয় না।
কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কে আশ্রয় নেয়া এনতাজ আলী বলেন, ১৫ দিন ধরে এই সড়কে গরু, ছাগল নিয়ে অবস্থান করছি। নিজের খাবারের কষ্ট। তার উপর গরু, ছাগলের খাবার। সবমিলে খুব কষ্টে দিন পার করছি।
জেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন্যাকবলিত এলাকায় ৪০ হাজারের বেশি নলকূপ পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, জেলার ৯টি উপজেলায় দুই হাজারেরও বেশি পুকুরের সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজার রহমান প্রধান জানান, বন্যার কারণে জেলার ১০ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।
জেলায় বন্যার্তদের জন্য এ পর্যন্ত ১৯০ মেট্রিক টন চাল, জিআর ক্যাশ ৯ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য দুই লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ৪ লাখ টাকা এবং ৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম।