খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ৪৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অধ্যাপক সেলিমের বাবা শুকুর আলী মোল্লা বুধবার খান জাহান আলী থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস।
তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অধ্যাপক সেলিমের বাবা।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
তিনি বলেন, মৃত্যুর ঘটনায় ৪৪ শিক্ষার্থীর নামে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগে দায়ের করেছি। তবে তা এজাহার হিসেবে এন্ট্রি না করে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
শুকুর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, মামলা নেইনি বা নেব না এমন কোন কথা হয়নি। তাদের লিখিত অভিযোগটি রেখে দিয়েছি, সেটি তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। ৪৪ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার অভিযোগ দিয়েছেন প্রয়াত শিক্ষক সেলিম হোসেনের বাবা মো. শুকুর আলী মোল্লা। এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। পুলিশ কোন রকম প্রভাবিত হয়নি বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর অধ্যাপক সেলিম হোসেন ক্যাম্পাসের কাছে ভাড়া বাসায় মারা যান। ১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালী গ্রামে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাফন হয়। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ১৪ ডিসেম্বর তার লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ১৬ ডিসেম্বর আবারও তার লাশ দাফন করা হয়। এখনও পর্যন্ত সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে, অভিযোগ কুয়েট ছাত্রলীগের