মৃত সোহাগ হোসেন (১২) উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের মনাইরকান্দি গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সোহাগের গত চার দিন ধরে জ্বর ছিল এবং সে অ্যাজমায় আক্রান্ত ছিল। সম্প্রতি তাদের পাশের বাড়িতে ইতালি থেকে এক প্রবাসী এসেছেন। তবে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এ ঘটনায় এলাকায় করোনাভাইরাস আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে আইইডিসিআরকে বিষয়টি অবহিত করলেও রক্তের নমুনা সংগ্রহ না করে ছেলেটির দাফন সম্পন্ন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, জ্বর নিয়ে রবিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সোহাগকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শ্বাসকষ্ট বা সর্দি-কাশি ছিল না। তার বেশ জ্বর ছিল এবং ঘার বাঁকা হয়ে যাচ্ছিল। পরে অবস্থা খারাপ হলে ভোরে ঢাকা নেয়ার পথে শিশুটি মারা যায়। ‘আমরা বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানালে তারা করোনার উপসর্গ নয় বলে জানান।’
সোহাগের বাড়ি লকডাউন করা হবে কিনা এ বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘এখন যে কোনো মৃত্যু হলেই মানুষ একটু আতঙ্কিত হয়। সোহাগের বাড়ির লোকদের সতর্ক থাকতে বলেছি। এখন সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। চারদিকে যেহেতু সবকিছু বন্ধ, তারা যেন বাড়িতে সতর্ক থাকে এবং কেউ যদি অসুস্থ হয় তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগকে জানাতে বলেছি।’
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান সাদী জানান, গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাসলিমা আক্তার নিশ্চিত করেছেন এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। তাই সোহাগের বাড়ি লকডাউন করার কোনো পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই। তবে সতর্কতামূলক কার্যক্রম চলবে।