এতে বন্যাকবলিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে চার উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক পরিবার।
এদিকে, বন্যার পানিতে ডুবে শুক্রবার দুপুরে লিমন নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
গাইবান্ধার বানভাসী মোল্লারচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই জানান, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানিতে ডুবে আছে চারদিক। সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৬৫টি চরাঞ্চলের অধিকাংশ ঘরবাড়ি এখন পানিতে ভাসছে। কোথাও হাঁটু পানি কোথাও কোমর পানিতে তলিয়ে আছে ঘরবাড়ি।
কামারজানি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির জানান, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র নদীর চরাঞ্চলে সরকারিভাবে বিভিন্ন উচু জায়গা ও স্কুলগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দেয়ায় পানিবন্দী কিছু মানুষ তাদের গবাদী পশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের খোলা আকাশের নিচে বাস করছে। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা না পেয়ে নদীর পশ্চিম তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
একই চালার নিচে গবাদী পশু ও মানুষের ঠাঁই হওয়ায় দুর্গত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের রোগ ব্যাধী। এছাড়া পানিবন্দীতে থাকা যেসব লোক নিজের বাড়িতে চৌকি উঁচু করে বাস করছেন তাদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে পয়নিষ্কাশন, পানি ও খাবার অভাব।
সবকিছু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ওইসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ নৌকায় বাস করছে। বাধ্য হয়ে নৌকাতেই রান্নাসহ অন্যান্য কাজ সারছেন।
কামারজানির কুন্দেরপাড়ার চরের আব্দুল মান্নান বলেন, অনেক বন্যা দেখেছি। কিন্তু এবারের বন্যা একটু আলাদা। রাতারাতি পানি বেড়ে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। আগের বছরগুলোতে বন্যার সময় কেউ না কেউ শুকনো খাবার বা ত্রাণ বিতরণ করলেও এবার চারদিকে হায়হায় অবস্থা।
১৬ দিন হয়ে গেল দ্বিতীয় দফা বন্যায় সব ভেসে গেল। এক মুঠো চাল বা ত্রাণ কিছুই পাননি এবং দুর্গতদের খোঁজ নিতে কোনো জনপ্রতিনিধিও এলাকয় যাননি।
তবে, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী জানান, বন্যার্তদের মধ্যে নগদ টাকা ছাড়াও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।