আসামি মো. রহিম ও রহমত উল্যাহকে ৩ নং বেগমগঞ্জ আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মাশফিকুল হকের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ।
বিচারক রিমান্ড শুনানি শেষে উভয় আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলায় তিন দিন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে তিন দিন করে মোট ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সরকারি রেজিস্টার কর্মকর্তা (জিআরও) সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. সোহেল রানা বলেন, আসামি মো. রহিম ও রহমত উল্যাহকে ৩ নং বেগমগঞ্জ আমলী আদালতে হাজির করা হলে, বিজ্ঞ বিচারক মাশফিকুল হক আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে উভয় আসামিকে দুই মামলায় তিন দিন করে মোট ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নোয়াখালী আইনজীবি সমিতির সভাপতি মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন জানান, আসামিদের পক্ষে কোনো উকিল অবস্থান নেবে না বরং বাদীকে সকল ধরনের আইনি সহায়তা দেয়া হবে।
এর আগে, ঘটনার ৩৩ দিন পর ৯ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও আইসিটি আইনে রবিবার দিবাগত রাত ১টায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে নির্যাতিতা গৃহবধূ (৩৫) বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নির্যাতনের ঘটনার প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ ও র্যাব-১১।
সোমবার সকালে মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে ও স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে র্যাব-১১।
আটককৃত বাদল (২২) একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মধ্য একলাশপুর গ্রামের মোহর আলী মুন্সি বাড়ির পূর্বের পিতা সাহাব উদ্দিন বর্তমান পিতা রহমত উল্যাহর ছেলে এবং দেলোয়ার একই গ্রামের কামাল উদ্দিন বেপারী বাড়ির সাইদুল হকের ছেলে।
এর আগে, রবিবার বিকালে একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিধন ভূঁইয়া বাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে মো. রহিম (২০) ও রাতে একই এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. রহমত উল্যাহকে (৪১) গ্রেপ্তার করে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ।
এদিকে, সোমবার দুপুরে নির্যাতিতার বাড়ি থেকে কুমিল্লা সিআইডির একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলের আলামত সংগ্রহ করেছে।
এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের পরিবারের অনেক সদস্যই বাড়িঘর ছেড়েছেন।