ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনায় ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছে সন্ধ্যা থেকে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি ৪ ফুট বেড়েছে পুরো সুন্দরবন।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আজ সন্ধ্যা অথবা রাত ৯টা নাগাদ সুন্দরবন ও মোংলা উপকূল অতিক্রম করে উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র ও পর্যটন স্পটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির রবিবার বিকালে জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে মোংলা বন্দর চ্যানেলে চার ফুট পানি বেড়ে সুন্দরবন প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে সুন্দরবনে অবস্থিত করমজলে একমাত্র সরকারি বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রটিও। ঝড়ের প্রভাব অব্যাহত থাকলে রাতে পানি আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: উপকূলীয় এলাকার কাছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল, জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি
তবে বণ্যপ্রাণীর জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ায় এখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আজাদ কবির আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পুরো সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাম্পগুলোতে থাকা বনরক্ষীদের এরই মধ্যে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে এরই মধ্যে মোংলা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না ও পৌর মেয়র শেখ আব্দুর রহমান।
তারা জানান, ঝুঁকি এড়াতে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি কাজ ও রোগীদের কথা চিন্তা করে মোংলা নদীতে ফেরি চালু রাখা হয়েছে। পৌর শহরের আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজনকে আনার জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।